এ বার বাড়ি ভাঙা শুরু সেকরাপাড়ায় - বাংলা খবর ডট ইন

বিনোদন জগতের নতুন নাম, Being Bengali, স্প্রেড পসিটিভলী

হেডলাইনে

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, September 17, 2019

এ বার বাড়ি ভাঙা শুরু সেকরাপাড়ায়

বৌবাজার বিপর্যয়ের পরে কেটে গিয়েছে ১৭ দিন। সম্প্রতি দুর্গা পিতুরি লেনে একটি বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হলেও এত দিন সেকরাপাড়া লেনে কোনও বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা হয়নি। সোমবার ১১, সেকরাপাড়া লেন ঠিকানায় একটি তেতলা বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হল। সেখানকার বাসিন্দা অতনু ঘোষ, মৈত্রেয়ী ঘোষ, শ্রাবণী রাহারা জানালেন তাঁদের বাড়ির পিছন দিকের অনেকটা অংশ ধসে পড়েছিল। ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল সামনের দিকও। এক রকম বাধ্য হয়ে তাঁরা তাই মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বাড়িটি ভাঙার অনুমতি দিয়েছেন।

এ দিন দুপুরে সেকরাপাড়া লেনের মুখে বসেছিলেন অতনু, তাঁর স্ত্রী মৈত্রেয়ী এবং মৈত্রেয়ীর এক বোন শ্রাবণী। অতনু বলেন, ‘‘আমার শ্বশুরমশাই বাড়িটা তৈরি করেছিলেন। এই এলাকায় আমাদের তিন পুরুষের বাস। আজ যখন এক-একটা ইট ভাঙা হচ্ছে, মনে হচ্ছিল আমার পাঁজরের হাড় ভেঙে যাচ্ছে। এই আবেগ কী করে বুঝবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ?’’ ভাঙা বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বার করার অপেক্ষায় ছিলেন মৈত্রেয়ী। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা বলেছেন বাড়ি ভাঙা হয়ে গেলে জিনিসপত্র বার করা যাবে। কিন্তু আমার ভয় করছে, বাড়ি ভাঙার সময়ে ঘরের জিনিসের ক্ষতি হবে না তো?’’ আর শ্রাবণী বলেন, ‘‘সেই ৩১ অগস্ট রাত থেকে শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্ন। যে ভাবে হয়রান হতে হচ্ছে, তাতে আমাদের কী দোষ বলতে পারেন?’’
অন্য দিকে দুর্গা পিতুরি লেনের বাইরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ফুটপাতে একটি সোনার দোকানের সামনে এ দিন দেখা যায়, একটি সাদা কাগজে নিজেদের দোকানের নাম লিখে পোস্টারের মতো করে তুলে ধরে বসে আছেন এক যুবক। যুবকটির পাশে দাঁড়ানো এক মহিলা পুষ্পলতা সূর্যবংশী জানালেন, দুর্গা পিতুরি লেনে তাঁদের ২০ হাজার বর্গফুটের সোনার দোকান ছিল। সেখানে গয়না তো তৈরি হতই, পাশাপাশি হলমার্ক বসানোর কাজও হত। পুষ্পলতা বলেন, ‘‘গত মাসের ৩১ তারিখ থেকে দোকান বন্ধ। কিছু কাজ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি দোকানে হচ্ছে। সেটাই পোস্টারে লিখে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’
সেকরাপাড়া লেনের পাশের রাস্তা গৌর দে লেনের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বাড়িতে নতুন নতুন জায়গায় রোজ ফাটল দেখা দিচ্ছে। এক বাসিন্দা দেবাশিস দে জানান, তাঁদের বাড়ির বারান্দায় ও খাবার ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল আরও বড় হচ্ছে হচ্ছে কি না মাপতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ‘ক্র্যাক মিটার’ বসিয়ে গিয়েছেন। দেবাশিস বলেন, ‘‘মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আর ভরসা রাখতে পারছি না। বৃষ্টি হলেই শোয়ার ঘরে ছাদ থেকে জল পড়ছে। এমন তো আগে হত না। মেট্রোর কাছে আমাদের আবেদন, তাঁরা যেন এই বাড়িগুলির মেরামতিতেও একটু নজর দেন।’’

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here